একটি চাকরির দরখাস্ত আপনার পেশাগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ এবং নিজের যোগ্যতা প্রদর্শনের একটি মাধ্যম। একটি ভালো দরখাস্ত লেখার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন:
ঠিকানা ও তারিখ:
আপনার ঠিকানা ডান দিকে উপরে এবং প্রাপকের (কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ) ঠিকানা বাম দিকে উপরে লিখুন।
তারিখ লিখতে ভুলবেন না।
বিষয়:
বিষয়栏ে স্পষ্টভাবে লিখুন "চাকরির জন্য আবেদন" এবং পদের নাম যদি জানা থাকে তাহলে সেটিও উল্লেখ করুন।
অভিবাদন:
"মাননীয় জনাব/জনাবী" বা "প্রিয় মহোদয়/মহোদয়া" এইভাবে অভিবাদন জানিয়ে শুরু করুন।
পরিচয়:
নিজেকে সংক্ষেপে পরিচয় করিয়ে দিন। আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করুন।
দরখাস্তের কারণ:
কেন আপনি এই চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সেটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। কোম্পানি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান এবং কেন আপনি এই পদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন, সেটি ব্যাখ্যা করুন।
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং অর্জনগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করুন। বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত যোগ্যতার সাথে আপনার যোগ্যতাকে মিলিয়ে দেখান।
কেন আপনি উপযুক্ত:
আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কীভাবে এই পদের জন্য আপনাকে উপযুক্ত করে তোলে, সেটি ব্যাখ্যা করুন। আপনার দক্ষতা কোম্পানিকে কীভাবে উপকৃত করতে পারে, সেটি উদাহরণ দিয়ে বোঝান।
আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্র:
আপনার সিভি, সনদ, সার্টিফিকেট ইত্যাদি যেসব কাগজপত্র সংযুক্ত করছেন, সেগুলো উল্লেখ করুন।
ধন্যবাদ:
আপনার আবেদন বিবেচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
স্বাক্ষর:
আপনার নাম ও তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর করুন।
সহজ ও সরল ভাষায় লিখুন: জটিল শব্দ ও বাক্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট থাকুন: অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শুদ্ধিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করুন: ব্যাকরণ ও বানানের ভুল এড়িয়ে চলুন।
আদব-কায়দা মেনে চলুন: ভদ্রভাবে এবং শ্রদ্ধার সাথে দরখাস্ত করুন।
পরিষ্কার ও সুন্দর হাতে লিখুন: যদি হাতে লিখেন, তাহলে পরিষ্কার ও সুন্দর হাতে লিখুন।
একটি ভালো চাকরির দরখাস্ত আপনাকে সাক্ষাতকারের জন্য ডাকতে পারে। তাই, আপনার দরখাস্ত যেন সবচেয়ে ভালোভাবে আপনাকে উপস্থাপন করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আপনার আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
আপনি কি চাকরির দরখাস্তের জন্য কোনো নির্দিষ্ট উদাহরণ চান?