বাংলাদেশে নতুন জন্ম নিবন্ধন করানো একটি আইনগত প্রক্রিয়া। শিশুর জন্মের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর আইনি পরিচয় এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
শিশুর জন্ম সনদ: হাসপাতাল বা বার্থ ক্লিনিক থেকে প্রাপ্ত জন্ম সনদ।
বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি: উভয়েরই জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের ও পিছনের দিকের ফটোকপি।
বাবা-মায়ের বিবাহ নিবন্ধন সনদের ফটোকপি: যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন।
দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি: শিশুর স্পষ্ট ও সাম্প্রতিক ছবি।
সাক্ষীর স্বাক্ষর: দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ফরম। সাক্ষীরা সাধারণত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা স্থানীয় কোনো গণ্যমান্য ব্যক্তি হতে পারেন।
অনলাইনে আবেদন: বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
অফলাইনে আবেদন: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারেন।
শিশুর জন্মের 21 দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে, বিশেষ কারণে এই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
আইনি পরিচয়: শিশুর আইনি পরিচয় প্রমাণ করে।
নাগরিকত্বের প্রমাণ: শিশুর নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
ভবিষ্যতে বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন: পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অপরিহার্য।
শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং চাকরির জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
আবেদনের সময় সঠিক তথ্য দিন: আবেদন ফরমে দেওয়া সকল তথ্য সঠিক এবং পরিষ্কারভাবে দিন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিন: সকল কাগজপত্রের ফটোকপি স্পষ্ট হতে হবে।
আবেদনের পর নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন: আবেদনের অবস্থা জানতে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যোগাযোগ করুন।
আপনার সুবিধার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক: https://bdris.gov.bd/
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে দ্বিধা করবেন না, আমাকে জানান।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।